মঙ্গলবার ডিআরইউতে এক আলোচনা সভায় ফখরুল বলেন, ‘২১ আগস্ট মামলার রায় আগামীকাল (বুধবার) ঘোষণা করা হবে। এই মামলার রায় নিয়ে বহু কথা বলা হচ্ছে। প্রকৃত সত্যটা কেউ উদঘাটন করতে চাইছে না। আমি হলফ করে বলতে পারি তারেক রহমান, আবদুস সালাম পিন্টু, লুৎফুজ্জামান বাবরসহ বিএনপি নেতারা এর সাথে জড়িত ছিলেন না।’
বিএনপি নেতা আরো বলেন, ‘যে কোনো হত্যাকাণ্ডের একটা মোটিভ থাকবে। এই ঘটনার বেনিফিশারি কে হয়েছে? নিশ্চিতভাবে আওয়ামী লীগ হয়েছে। আওয়ামী লীগ এটাকে ইস্যু করে বিএনপিকে ধ্বংস করার চেষ্টা করছে।’
শহীদ জেহাদের মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে শহীদ জেহাদ স্মৃতি পরিষদ এ আলোচনা সভার আয়োজন করে। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে ১৯৯০ সালের ১০ অক্টোবর ঢাকায় গুলিতে নিহত হন জেহাদ। তার বাড়ি সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ায়। তিনি ছাত্রদলের কর্মী ছিলেন।
ফখরুল দাবি করেন, ২১ আগস্ট মামলার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি। সঠিকভাবে যদি দোষী ব্যক্তিদের বের করা যেত তাহলে আসল সত্য বেরিয়ে আসত।
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে সরকার বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে এই মামলায় জড়িয়েছে বলে দাবি করেন তিনি।
বিএনপি নেতা বলেন, সরকার দেশের বিচার ব্যবস্থা ধ্বংস করেছে। ‘সাবেক প্রধান বিচারপতি এসকে সিনহা আজ (মঙ্গলবার) ভয়েস অব আমেরিকাকে বলেছেন বর্তমানে বাংলাদেশে কোনো আইনের শাসন নেই এবং সরকার সবকিছু নিয়ন্ত্রণ করায় নিম্ন আদালত সবচেয়ে ভয়াবহভাবে আক্রান্ত হয়েছে।’
২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার তদন্তভার পুলিশ কর্মকর্তা আব্দুল কাহার আকন্দের ওপর ন্যস্ত করার পর মামলাটি রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
২০০৪ সালে আওয়ামী লীগের সমাবেশে গ্রেনেড হামলার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার রায় বুধবার ঘোষণা করা হবে। গত ১৮ সেপ্টেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-১ এর বিচারক শাহেদ নূরুদ্দিন রায় ঘোষণার জন্য এদিন ধার্য করেন।
দেশ গভীর সংকটে পড়েছে উল্লেখ করে এর থেকে মুক্তির জন্য ফখরুল সবাইকে রাজপথে নামার আহ্বান জানান। ‘রাজপথে নামা ছাড়া কোনো উপায় নেই। কেউ আমাদেরকে ক্ষমতায় বসিয়ে দিয়ে যাবে না, কেউ এই সরকারকে সরিয়ে দেবে না, যতক্ষণ পর্যন্ত না জনগণ সরিয়ে দিচ্ছে।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য তিনি বিএনপি নেতা-কর্মীদের সংগঠিত হয়ে এবং জনগণকে একতাবদ্ধ করে আন্দোলনে নামার আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, তাদের দল রাজনৈতিক দলগুলোকে একতাবদ্ধ করতে কাজ করছে।